বিশেষ সংবাদদাতা:
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় পশ্চিমবাংলা সরকারের ভূমিকা নিয়ে কয়েকদিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইংল্যান্ড ও মার্কিন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। তাঁরা রাজ্য সরকারের কাজ করার কৌশলকে ‘চূড়ান্ত বিরক্তিকর’ বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, করোনা রুখতে কাজ করতে গিয়ে রাজ্যের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা আরও বলেছিলেন, রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা খুবই কম হয়েছে।
আর তখনই প্রবাসী চিকিৎসকদের তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টুইট করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ও ইংল্যান্ড করোনা মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ। সেখানেও পিপিই ঠিক মতো সরবরাহ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থাও সেই দেশগুলিতে খুবই খারাপ। প্রবাসী চিকিৎসকদের উচিত, এই পরামর্শগুলি আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের সরকারকে দেওয়া।’ সাংসদ মহুয়া মৈত্রের এই সমালোচনায় রাজ্যের অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। তবে কেউই মুখ খোলেননি। কিন্তু রবিবার তৃণমূল সাংসদের সমালোচনায় যৌথ বিবৃতি দিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষ।
বিবৃতিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘সংসদে আপনি গণতন্ত্র রক্ষায় অনেকবার সরব হয়েছেন। সরকারের সমালোচনা করা মানেই যে দেশের বিরোধিতা করা নয়, সে কথাও জানিয়েছিলেন। বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়াকে ফ্যাসিস্ত মনোভাবের লক্ষণ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তা হলে এখন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা আপনি গ্রহণ করতে পারছেন না কেন? এই সমালোচনাকে কেন রাজ্য বিরোধী বলে ধরে নেওয়া হবে?’
এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন আমলা অর্ধেন্দু সেন, পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তরুণ মজুমদার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্র, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, চিত্রশিল্পী সমীর আইচ, ওয়াসিম কাপুর–সহ আরও অনেকে।